রাইটিং প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন
অনলাইন এ মিলিয়ন অফ স্টোর রয়েছে আর এই স্টোরগুলো দাঁড়িয়ে আছে তাদের কাজ আর স্ট্রাটেজি এর মাধ্যমে। যদি আপনাকে কেউ খুঁজে না পায় তাহলে তারা আপনার স্টোর এর জন্য ভালো কিছু করতে পারবেনা। তাই আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এমন হতে হবে যার মাধ্যমে আপনি সেল করতে পারবেন। অনেক ই -কমার্স বিসনেস রয়েছে যারা বুঝে যে তাদের প্রোডাক্ট পেজ তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তারপর তারা এসইও বা অপ্টিমাইজ এর জন্য টাইম দিচ্ছে না।
এই আর্টিকেলে ৪ টা ইজি ওয়ে দেখবো যার মাধ্যমে আপনি এসইও এর জন্য প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন্স অপ্টিমাইজ করতে পারেন।
সঠিক কিওয়ার্ড টার্গেট করা
ইন্টারনেট সার্চ কারীদের আপনার স্টোরটি খুঁজে পেতে সহায়তা করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার সাইটের পেজ গুলো বুঝতে হবে।
এটার জন্য সবচেয়ে ভালো ওয়ে হচ্ছে প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে সঠিক কিওয়ার্ড টার্গেট করা।
যখনি আপনি রিসার্চ করবেন তখন আপনি এগুলো খুঁজতে পারেন :
- কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি ( স্পেসিফিক কিওয়ার্ড বা কিওয়ার্ড ফ্রেইজ এর জন্য র্যাঙ্ক করা কতটা কঠিন)।
- সার্চ ভলিউম (কত জন লোক আপনার কিওয়ার্ড সার্চ করছে )
- লং -টেইল কিওয়ার্ড ( অনেকে মাল্টিপল ওয়ার্ড এবং লংগার ফ্রেইজ এর মাধ্যমে সার্চ করে থাকে )
- রিলেটেড টার্ম ( আপনি চাইলে এই টার্ম গুলো আপনার কনটেন্ট এ ব্যবহার করতে পারেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য বেস্ট ওয়ে হলো অনলাইন টুলস ব্যবহার করা। সেমরাশ বা উবারসাজেস্ট এর মাধ্যমে আপনার কিওয়ার্ড এর লিস্ট কে ন্যারো ডাউন করতে পারবেন এবং প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন বা ওয়েবসাইট এর অন্যান্য পেজ গুলোতেও ফোকাস করতে পারবেন। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনলাইনে লং-টেইল কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে র্যাঙ্ক করা সহজ হয়ে থাকে। আপনাকে কিওয়ার্ড চুজ করার সময় ব্যালেন্স করতে হবে যাতে করে কিওয়ার্ড খুব বেশি বড় বা ছোট হয়ে না যায়।
স্ট্রাটেজিক কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট
কিওয়ার্ড সিলেক্ট করা হয়ে গেলে, ওই কিওয়ার্ড কে স্ট্র্যাটেজিকালি আপনার কনটেন্ট এ প্লেস করতে হবে। তবে আপনি কিওয়ার্ড স্টাফিং এভোয়েড করতে পারেন ( কিওয়ার্ডের অতিরিক্ত ব্যবহার )। কারণ এটি আপনার অনলাইন রাঙ্কিং এবং আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ব্যাড ইফেক্ট তৈরী করতে পারে। তাই আপনার কিওয়ার্ডগুলো এভাবে রাখতে পারেন।
- কিওয়ার্ড ইউআরএল এ একবার ব্যবহার করবেন।
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এ কিওয়ার্ড একবার বা দুবার ব্যবহার করবেন।
- অলটা ট্যাগে একবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন (এইগুলি আপনার ইমেজ এ ট্যাগ হবে )
- মেটা ডেসক্রিপশন এ একবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন টাইটেল এ একবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা ওভারইউজ বা পসিবল প্যানালাইজেশন এভোয়েড করতে আপনি আপনার টার্গেট কিওয়ার্ডে কিছুটা ভিন্নতা রাখতে পারেন। কিওয়ার্ড টি আপনার ডেসক্রিপশন এর জন্য কপি করার সাথে সাথে মনে রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি কেবল বটগুলির জন্য নয় আপনি আপনার কাস্টমারদের জন্য লিখছেন।
প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন টাইটেল
আপনার টাইটেল কে খুব বেশি ফ্যান্সি করে ফেলবেন না। ওভারলি স্পেসিফিক এবং টু ব্রড এর মধ্যে মিড্ল গ্রাউন্ড খুঁজে বের করুন। অনলাইন র্যঙ্কিং এর মূল বিষয় হলো আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড ইউজ করা। তাই এটা সিম্পল রাখাই ভালো।
প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন
ডেসক্রিপশন এর মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে পারেন। আপনার সার্চ থেকে কিছু রিলেটেড কিওয়ার্ড টার্ম ইউজ করতে পারেন এবং বডি কপিতে আপনার কাস্টমার কে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানোর জন্য আকর্ষণীয় কিছু নিয়ে আসতে পারেন।
অল্টার ট্যাগ ফর ইমেজ
নতুন বিসনেস ওনার প্রায়ই অল্টার ট্যাগগুলো ব্যবহার করতে ভুলে যায় বা ওভারলুক করে যায়। কিন্তু তারা আপনার কিওয়ার্ডগুলি আরও স্ট্র্যাটেজিকালি ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়। অল্টার ট্যাগ এর মাধ্যমে ইনফরমেশন দেয়া যায় কারণ সার্চ ইঞ্জিন আপনার ইমেজ দেখতে পারেনা। আপনার অল্টার ট্যাগ এ কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইট কে প্রপারলি ইনডেক্স করতে পারে।
মেটা ডেসক্রিপশন
বিসনেস ওনার্সদের জন্য আরেকটি ওভারলুক অপর্চুনিটি হলো মেটা ডেসক্রিপশন। এখানে ১৬০ ক্যারেক্টার আপনার পেজ কে স্নিপেট ডিস্ ক্রাইভ করে যা সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে দেখানো হয় ইন্টারনেট সার্চকারীদের।
মেটা ডেসক্রিপশন ডিরেক্টলি আপনার র্যাঙ্কিংকে এফেক্ট করে না কিন্তু এটি ক্লিক -থ্রো রেট কে এফেক্ট করে। এটি পটেনশিয়াল কাস্টমারদের আপনার পেজ এর জন্য একটি শর্ট এবং কম্পেলিং ডেসক্রিপশন দিবে এবং আপনার টার্গেট কিওয়ার্ডগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
সুতরাং কিভাবে এটি সাহায্য করে? গুগল আপনার মেটা ডেসক্রিপশন এর ওয়ার্ড গুলো কে হাইলাইট করে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করে থাকে তারা যা সার্চ করছে তা খুঁজে পেতে,আর এই ওয়ার্ড গুলো হচ্ছে আপনার কিওয়ার্ড যা আপনি আপনার পেজ এর জন্য ব্যবহার করেছিলেন।
আপনার ডেসক্রিপশন ডুপ্লিকেট করবেন না
আপনার রিসার্চ এবং কিওয়ার্ড গুলো সঠিক ভাবে বসানোর পর এখন সময় হচ্ছে আপনার কনটেন্ট এর ফাইননেস করা। আপনার সাইট এর প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট এর জন্য ইউনিক প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এবং স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত সিটিএ ( কল-টু-অ্যাকশন) করতে পারেন। অনেক নতুন ই -কমার্স বিসনেস রয়েছে যারা এই ভুলটি করে থাকে যে তারা প্রতিটি প্রোডাক্ট এর সেম ডেসক্রিপশন দিয়ে থাকে। এটি সার্চ ইঞ্জিন কে কনফিউজ করে এবং তারা আপনার সাইটিকে প্রপারলি ইনডেক্স করেনা এবং সকল পেজের ড্রাইভ ভিসিবিলিটি ডাউন থাকে।
এটি কিওয়ার্ড ক্যানিবালাইজেশন সহ একটি ইস্যু তৈরি করে যার মানে হল একই কিওয়ার্ডের জন্য আপনাকে দুটি বা আরও বেশি পেজ কে কমপিট্ করতে হবে। আপনি যদি প্রতিটি প্রোডাক্ট এর জন্য ডিফারেন্ট কিওয়ার্ড ব্যবহার করেন তাহলেই এটা সহজে এভোইড করা যায়।
গুগল অ্যানালিটিক ব্যবহার করুন
এসইও এর একটি বড় পার্ট জুড়ে রয়েছে আপনার ট্রাফিক এবং আপনার অডিয়েন্স। গুগল অ্যানালিটিক্স একটি ফ্রি টুল, যা ই- কমার্স বিসনেস ওনার ট্র্যাফিক ট্র্যাক করতে, গোল সেট করতে, ইউজার বিহেভিয়র এবং আরও অনেক কিছু ট্র্যাক করতে ব্যবহার করে থাকে। গুগল তাদের অ্যানালিটিক্স একাডেমির মাধ্যমে ফ্রি কোর্স এবং ট্রেনিং দিচ্ছে যা আপনাকে আপনার সাইট সম্পর্কে বোঝার এবং অনলাইন ভিসিবিলিটি ইমপ্রোভ করতে সহায়তা করে।
আপনার অনলাইন স্টোরটিকে আজই অপ্টিমাইজ করুন!
আপনি প্রথম যখন এসইও শুরু করবেন তখন এটা কিছুটা ওভারওয়েলমিং হতে পারে কিন্তু এটা আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজির পার্ট হওয়া জরুরী। উপরের লিস্ট এ যে বেসিক ধারণা দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে আপনি আপনার অনলাইন ট্রাফিক এবং সেল বুস্ট করতে পারবেন। এটি সামান্য কাজ লাগে তবে এসইও আপনার ইকমার্স বিসনেস এর জন্য একটি বিশাল পার্থক্য আনতে পারে।
