INTELLECTUAL PROPERTY

Share This Post

ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি

গিয়ারলঞ্চ এ আমরা, যারা বেস্ট সাপোর্ট সেলার তাদের অগ্রাধিকার দেই সাক্সসেসফুল  ই-কমার্স বিজনেস তৈরী করার জন্য। আমাদের এফোর্ট এর একটি পার্ট হচ্ছে আমাদের সেলারদের ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  সম্পর্কে জানানো এবং কিভাবে তারা অন্যের রাইটকে রেসপেক্ট  করতে পারেন তা ইনফর্ম করা। 

ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  কি(“আইপি “)?

ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  হলো এমন একটি অস্পর্শী প্রপার্টি  যা ইনভেনশন এবং ক্রিয়েশন এর সাথে সম্পর্কিত।  এলিমেন্ট যেমন ডিজাইন, ডেসক্রিপশন , শপের নাম ,এবং লোগো ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  হিসেবে কন্সিডার করা যায়। আইপি কে আইনগতভাবে প্রটেক্ট করার অনেক উপায় রয়েছে। ফর এক্সাম্পল, কোন ইনভেন্টর তার কোন আবিষ্কারের পেটেন্ট অধিকার পেতে পারেন, একটি বিজনেস ট্রেড মার্ক রাইট পেতে পারে এর নাম এবং লোগো এর ওপর , একজন আর্টিস্ট তার অর্জিনাল পেইটিং এর ওপর কপি রাইট পেতে পারেন। এইখানে দুইটি উপায় দেয়া হলো যেখানে আইপি রিলেভেন্ট হবে সেলারের বিজনেস এ:

১. যদি একজন সেলারকে কপি, মোডিফাই, রিপ্রোডিউস এবং/বা অন্যের আইপি ডিস্ট্রিবিউট করতে, কিছু অংশ বা পুরোটা জুড়ে পাওয়া যায় (এইটা হলো কোনো সেলার যদি অন্যের আইপি তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করেছে এই অভিযোগ উঠে). আইপি এর ওনার  সেই সেলারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন  নিতে পারবেন , আর যদি কোর্ট এই অভিযোগ এর সত্যতা পায় তাহলে (আইপি ইউস করা ইন্টেনশ্যনাল বা আনইন্টেনশ্যনাল এইটা ম্যাটার করে না) , ওনার কে মানি ড্যামেজ বা ইনজাক্টিভ রিলিফ দিতে হবে (একটি এক্সাম্পল হলো , কোর্ট অর্ডার হতে পারে সেলার একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট সেল করতে পারবে না)। 

২. যদি এখন সেলার মনে করেন যে কেউ তার আইপি রাইটস ভঙ্গ করেছে।  যদি এটি আইপি লঙ্ঘন হয়ে থাকে তাহলে ইন্টেনশ্যনাল বা আনইন্টেনশ্যনাল যাই হোক না কেন এইটার অর্থ হচ্ছে সেলার এর রাইট ভঙ্গ হয়েছে এবং সেলারের বিজনেসে নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পড়তে পারে। সেলার এই  লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে পারেন এবং মানি ড্যামেজ বা ইনজাক্টিভ রিলিফ পেতে পারেন। 

এই দুই সিনারিওতেই আইন জানা থাকলে এবং তা মেনে চললে বিজনেস কে ভালোভাবে প্রটেক্ট করা যাবে। 

কিছু বিজনেসের জন্য আইপি আইন অপরিচিত মনে হতে পারে, নিচে কিছু বেসিক ইনফরমেশন দেয়া হলো এই সম্পর্কে।  আমরা মূলত ইউনাইটেড স্টেটস এর ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  আইন এর ওপর ফোকাস করবো, কিন্তু এই ইনফরমেশন অন্য যেসব দেশ যারা ইউএসএ এর মতো সিমিলার আইন বা রিলেটেড ট্রিটিস আছে তাদের জন্য ও এপ্লাই করা যাবে। 

এইটা অনেক হাই-লেভেল ইনফরমেশন। মনে রাখবেন যে আমরা যে পরামর্শ আপনাকে দিচ্ছি তা লিগ্যাল এ্যাডভাইস না – লিগ্যাল এ্যাডভাইস হলো কোনও ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগ করা । এছাড়াও, আমরা আইনজীবী না। যদি আপনি আনশিওর থাকেন যে আপনার বিজনেস আইপি আইন মেনে চলছে  কিনা তাহলে এইটা আপনার দায়িত্ব একজন উকিল এর সাথে কনসাল্ট করা। 

কপিরাইট কি?

কপিরাইট হলো একটি প্রটেকশন যা অথরদের দেয়া হয় তাদের অর্জিনাল ওয়ার্ক এর এক্সক্লুসিভ কন্ট্রোল পাওয়ার জন্য যেন এইটা রিপ্রোডাকশন বা ডিস্ট্রিবিউশন না হয়। 

এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে কপিরাইট কেবলমাত্র ফ্রম অফ এক্সপ্রেশন- আন্ডারলেয়িং আইডিয়া বা সাবজেক্ট ম্যাটার করে না। আইডিয়া , প্রসেস, সিস্টেম, অপারেশন এর মেথড, কনসেপ্ট , প্রিন্সিপাল, বা ডিস্কভারিজ এর জন্য কোনো কপিরাইট প্রোটেকশন নেই। একটি উদাহরণ হলো এখন আর্টিস্ট তার বন্দরের নৌকার ছবির জন্য কপিরাইট পেতে পারেন – এমনকি তার পার্টিকুলার কালার চয়েজ, কম্পোজিশন, এবং পার্সপেক্টিভ এর জন্যও পেতে পারেন কিন্তু নৌকার ছবি তোলার তার ধারণার জন্য কপিরাইট পাবেন না। যে তার ছবি কপি করবে, ( একটি এক্সাম্পল হলো , ওয়েবসাইট এ দিয়ে বা ফ্লায়ার এ প্রিন্ট করে) সে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়বদ্ধ হতে পারেন, কিন্তু কেউ একজন নিজে যেয়ে একই বন্দরে একই বোট এর ছবি তুললে তা হবে না। 

সাধারণ ভাবে বললে কপি, মোডিফাই, রিপ্রোডিউস বা একটি কপিরাইট ওয়ার্ক যেটা আপনার নিজের না বা আপনার লাইসেন্স ও নেই সেইটা সেল করা অবৈধ।

কপিরাইট এর “ফেয়ার ইউজ” কি ?

ফেয়ার ইউজ এর সুবিধা কপিরাইট এর সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য লিমিটেশন। এর ভিত্তিতে, ফেয়ার ইউজ নিশ্চিত করে যে কপিরাইটযুক্ত কিছু ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা যাবে যা লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হবে তবে কপিরাইটের মালিকের কাছে অনুমতি বা অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। ফেয়ার ইউজ হিসাবে কি বিবেচনা করা যেতে পারে?

  • ক্রিটিসিজম এবং কমেন্ট : কোনো কাজ রিভিউ বা ক্রিটিসিজম এ  কুয়োটিং বা সংগ্রহ করে এ্যালাবরেট বা কমেন্ট করা। 
  • নিউজ রিপোর্টিং: একটি নিউজ রিপোর্ট এর আর্টিকেল সামারাইজ করা কিছু কোটেশন এর মাধ্যমে। 
  • রিসার্চ এবং স্কলারশিপ :  স্কলারলি, সাইন্টিফিক বা টেকনিক্যাল কাজ  এর একটি ছোট প্যাসেজ সাইট করা। 
  • নন-প্রফিট এডুকেশনাল ইউজস : একটি লিখিত কাজের লিমিটেড ফটোকপি ক্রিয়েট করা ক্লাসরুম এর জন্য। 
  • প্যারোডি: হাস্যকর উপায়ে সুপরিচিত কাজের অনুকরণ করা।

বেশিভাগ সিচ্যুয়েশন এ কপি করা লিগ্যালি “ফেয়ার ইউজ” না। 

এটি কোর্ট ডিসিশন নেয় ফেয়ার ইউজ এর মধ্যে কি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কোর্টকে অনেক গুলো ফ্যাক্টর কন্সিডার করতে হয় যেমন ব্যবহার করার টাইপ, কপি রাইট ওয়ার্ক এর নেচার , ব্যবহৃত কাজের পরিমাণ এবং গুরুত্ব এবং মূল কপিরাইটযুক্ত কাজের জন্য পোটেনশিয়াল মার্কেটে কি প্রভাব পরবে। এইটা করার কারণ হচ্ছে যেন সেলাররা তাদের সব ধরণের কাজ ফেয়ার ইউজ এর অন্তর্ভুক্ত এইটা মনে করতে না পারেন। 

বিজনেস এর জন্য গিয়ারলঞ্চ ইউজ করার মানে কি ?

আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট হিসেবে, গিয়ারলঞ্চ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী সেলাররা থার্ড পার্টি কপিরাইটযুক্ত কাজগুলি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না, যদি তাদের অনুমতি না থাকে বা আইনগতভাবে তা করার অনুমতি দেওয়া না হয়।

কপিরাইট এর আরো ইনফরমেশন এর জন্য , প্লিজ ভিসিট করুন কপিরাইট.গওভ

ট্রেড মার্ক কি?

ট্রেডমার্ক হ’ল একটি শব্দ, নাম, চিহ্ন বা ডিজাইন যা কোন কোম্পানি বা প্রোডাক্টকে ডিফাইন করে এবং কনজিউমারদের সহজেই ভালো পণ্য গুলো সনাক্ত করতে সহায়তা করে।

ট্রেডমার্ক টিপিক্যালী অ্যাসেট কভার করে যা একটি ব্র্যান্ডকে ডিফাইন করে। এই অ্যাসেটগুলো প্রোটেক্ট করা ইম্পরট্যান্ট কারণ তা একটি ব্র্যান্ড এর পাবলিক ইমেজ প্রোটেক্ট করে। যখন কনজিউমাররা একটি কোম্পানির সাথে পজিটিভ ফিলিংস এবং মেমোরিজ এর সাথে যুক্ত হয় তখন তাদের যে ফিলিংস থাকে , ট্রেডমার্ক ইউজ করেও একই রকম পাওয়ারফুল ইফেক্ট অ্যাচিভ করা যায়।  ট্রেডমার্ক রাইট অন্যদের মার্ক কপি করা থেকে এবং/বা বিভ্রান্তিকর সিমিলার মার্ক ইউজ করা থেকে বিরত রাখে। তবে, ট্রেডমার্ক অন্যদেরকে পরিষ্কারভাবে আলাদা মার্ক এর একই রকম পণ্য প্রোডিউস বা সেল করতে বাধা দেয় না।

এক্সাম্পল স্বরূপ, একটি (প্রকল্পিত) ন্যাশনাল কার কোম্পানি “এনটিএক্সউয়েল” তাদের ব্র্যান্ড প্রোমোট করে গ্রীন স্প্যাইরাল লোগো দিয়ে। এনটিএক্সউয়েল নাম এবং লোগো উভয়তেই ট্রেডমার্কের মালিক। এনটিএক্সউয়েল এর নাম এবং লোগো ব্যবহার করে একজন সেলার যদি একটি টি-শার্ট অফার করেন এনটিএক্সউয়েল এর পারমিশন ছাড়া,  এইটা তাদের নাম এবং লোগো ট্রেডমার্ক এর অধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সে আইনি দায়বদ্ধতার সম্মুখীন হতে পারেন। 

ট্রেডমার্ক এর “ফেয়ার ইউজ” কি?

কোর্ট “ফেয়ার ইউজ” ট্রেডমার্ক এলাও করতে পারে তার দুইটি উদাহরণ দেয়া হলো:

  • ডিস্ক্রিপটিভ ফেয়ার ইউজ : প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর সোর্স ইন্ডিকেট করতে অন্যের ট্রেডমার্ক ইউজ করার পরিবর্তে ইউজার এর প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ডেসস্ক্রাইব করার জন্য ইউজ করা। 
  • নোমিনেটিভ ফেয়ার ইউজ:  ট্রেডমার্কের মালিকের রেফারেন্স দেয়া। সঠিক রেফারেন্স দেয়া ট্রেডমার্ক ওনারের  বা পণ্য বা সার্ভিস এর যা ওই ট্রেডমার্কের আন্ডারে সোল্ড হয় এইটাকে ফেয়ার ইউজ বলে। তবে এটি বিভ্রান্তিকর বা মানহানিকর হতে পারবে না, বা ট্রেডমার্কের মালিক দ্বারা এ্যান্ডোসমেন্ট বা স্পনসারশিপ বোঝানো যাবে না। ট্রেডমার্কের মালিককে আইডেন্টিফাই করার জন্য ন্যূনতম রেফারেন্স দেয়ার অনুমতি আছে। 

আর কপি রাইট এর ব্যাপার হলো এইটা কোর্ট ডিটার্মাইন করবে কোনটা ফেয়ার ইউজ। সেলারদের ট্রেডমার্ক এর পার্টিকুলার ইউজ যেটা তাদের না সেইটা ফেয়ার ইউজ এর অন্তর্ভুক্ত এইটা মনে করা উচিত না।  

বিজনেস এর জন্য গিয়ারলঞ্চ ইউজ করার মানে কি ?

আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট হিসাবে, গিয়ারলঞ্চ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী সেলাররা থার্ড পার্টি কপিরাইটযুক্ত কাজগুলি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না, যদি তাদের অনুমতি না থাকে বা আইনগতভাবে তা করার অনুমতি দেওয়া না হয়। এমনকি কোনও লোগোতে পরিবর্তন করার সময় বা পুরোপুরি ট্রেডমার্কের অংশ বাদ দেওয়ার পরেও, সেলারদের ট্রেডমার্ক আইন ভঙ্গ হওয়ার রিস্ক থেকে যায় যদি সেটি ওই ব্র্যান্ড এবং/বা ব্র্যান্ড এর অ্যাসেট ব্যাবহার করার দিকে ইশারা করে। 

ট্রেডমার্ক এর আরো ইনফরমেশন এর জন্য , প্লিজ ভিসিট করুন ইউএসপিটিও.গওভ/ ট্রেডমার্ক

পাবলিসিটি রাইট কি?

পাবলিসিটি রাইট ট্রেডমার্ক এবং কপিরাইটের লিগ্যাল রাইট থেকে ভিন্ন। প্রতিটি মানুষের সহজাত অধিকার হচ্ছে তাদের নাম বা পছন্দের কমার্শিয়াল ইউজ কে কন্ট্রোল করা। 

উদাহরণ স্বরূপ: টি-শার্টে স্টিফেন কারির ইমেজ তার পারমিশন ছাড়া ব্যবহার করা, তার পাবলিসিটি রাইট লঙ্ঘন করে যেখানে উদ্দেশ্যটি অন্যের উপকারের জন্য বাণিজ্যিক লাভ (তাঁর সম্মতি ছাড়াই)।

পাবলিসিটি রাইট এর আরো ইনফরমেশন এর জন্য , প্লিজ ভিসিট করুন ল.কর্নেল.এডু/ওয়েক্স/পাবলিসিটি

বিজনেস এর জন্য গিয়ারলঞ্চ ইউজ করার মানে কি ?

আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট হিসাবে, গিয়ারলঞ্চ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী এগ্রি করেছেন কোনো মানুষের নাম বা তার লাইকনেস তার পারমিশন ছাড়া ব্যবহার করবেন না। 

আইপি আইন লঙ্ঘনের পরিণতিগুলি কী কী?

গিয়ারলঞ্চ আইপি আইনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়। সেলাররা  তাদের নিজেদের  বিজনেসের  মালিক এবং তাদের কোনও ইমেজ , লোগো, স্লোগান বা অন্যান্য ডিজাইন যা তারা ব্যবহার করেছেন সেগুলোর ওপর তাদের ফুল রাইট বা পারমিশন আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। 

যদি কোনো সেলার আইপি আইন ভঙ্গ করেন (আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট এ সেট করা অ-লঙ্ঘনীয় বাধ্যবাধকতা সহ) তাহলে তার  পরিণতি হতে পারে তার প্রোডাক্ট রিমুভ করে দেয়া, ক্যাম্পেইন শাট-ডাউন করা, গিয়ারলঞ্চ প্লাটফর্ম এর এক্সেস টার্মিনেট করা, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি এবং রাইট হোল্ডার দ্বারা মামলাও করা হতে পারে। 

ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  কি(“আইপি “)?

ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  হলো এমন একটি অস্পর্শী প্রপার্টি  যা ইনভেনশন এবং ক্রিয়েশন এর সাথে সম্পর্কিত।  এলিমেন্ট যেমন ডিজাইন, ডেসক্রিপশন , শপের নাম ,এবং লোগো ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  হিসেবে কন্সিডার করা যায়। আইপি কে আইনগতভাবে প্রটেক্ট করার অনেক উপায় রয়েছে। ফর এক্সাম্পল, কোন ইনভেন্টর তার কোন আবিষ্কারের পেটেন্ট অধিকার পেতে পারেন, একটি বিজনেস ট্রেড মার্ক রাইট পেতে পারে এর নাম এবং লোগো এর ওপর , একজন আর্টিস্ট তার অর্জিনাল পেইটিং এর ওপর কপি রাইট পেতে পারেন। এইখানে দুইটি উপায় দেয়া হলো যেখানে আইপি রিলেভেন্ট হবে সেলারের বিজনেস এ:

১. যদি একজন সেলারকে কপি, মোডিফাই, রিপ্রোডিউস এবং/বা অন্যের আইপি ডিস্ট্রিবিউট করতে, কিছু অংশ বা পুরোটা জুড়ে পাওয়া যায় (এইটা হলো কোনো সেলার যদি অন্যের আইপি তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করেছে এই অভিযোগ উঠে). আইপি এর ওনার  সেই সেলারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন  নিতে পারবেন , আর যদি কোর্ট এই অভিযোগ এর সত্যতা পায় তাহলে (আইপি ইউস করা ইন্টেনশ্যনাল বা আনইন্টেনশ্যনাল এইটা ম্যাটার করে না) , ওনার কে মানি ড্যামেজ বা ইনজাক্টিভ রিলিফ দিতে হবে (একটি এক্সাম্পল হলো , কোর্ট অর্ডার হতে পারে সেলার একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট সেল করতে পারবে না)। 

২. যদি এখন সেলার মনে করেন যে কেউ তার আইপি রাইটস ভঙ্গ করেছে।  যদি এটি আইপি লঙ্ঘন হয়ে থাকে তাহলে ইন্টেনশ্যনাল বা আনইন্টেনশ্যনাল যাই হোক না কেন এইটার অর্থ হচ্ছে সেলার এর রাইট ভঙ্গ হয়েছে এবং সেলারের বিজনেসে নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পড়তে পারে। সেলার এই  লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে পারেন এবং মানি ড্যামেজ বা ইনজাক্টিভ রিলিফ পেতে পারেন। 

এই দুই সিনারিওতেই আইন জানা থাকলে এবং তা মেনে চললে বিজনেস কে ভালোভাবে প্রটেক্ট করা যাবে। 

কিছু বিজনেসের জন্য আইপি আইন অপরিচিত মনে হতে পারে, নিচে কিছু বেসিক ইনফরমেশন দেয়া হলো এই সম্পর্কে।  আমরা মূলত ইউনাইটেড স্টেটস এর ইন্টেলেক্টচ্যুয়াল প্রপার্টি  আইন এর ওপর ফোকাস করবো, কিন্তু এই ইনফরমেশন অন্য যেসব দেশ যারা ইউএসএ এর মতো সিমিলার আইন বা রিলেটেড ট্রিটিস আছে তাদের জন্য ও এপ্লাই করা যাবে। 

এইটা অনেক হাই-লেভেল ইনফরমেশন। মনে রাখবেন যে আমরা যে পরামর্শ আপনাকে দিচ্ছি তা লিগ্যাল এ্যাডভাইস না – লিগ্যাল এ্যাডভাইস হলো কোনও ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগ করা । এছাড়াও, আমরা আইনজীবী না। যদি আপনি আনশিওর থাকেন যে আপনার বিজনেস আইপি আইন মেনে চলছে  কিনা তাহলে এইটা আপনার দায়িত্ব একজন উকিল এর সাথে কনসাল্ট করা। 

কপিরাইট কি?

কপিরাইট হলো একটি প্রটেকশন যা অথরদের দেয়া হয় তাদের অর্জিনাল ওয়ার্ক এর এক্সক্লুসিভ কন্ট্রোল পাওয়ার জন্য যেন এইটা রিপ্রোডাকশন বা ডিস্ট্রিবিউশন না হয়। 

এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে কপিরাইট কেবলমাত্র ফ্রম অফ এক্সপ্রেশন- আন্ডারলেয়িং আইডিয়া বা সাবজেক্ট ম্যাটার করে না। আইডিয়া , প্রসেস, সিস্টেম, অপারেশন এর মেথড, কনসেপ্ট , প্রিন্সিপাল, বা ডিস্কভারিজ এর জন্য কোনো কপিরাইট প্রোটেকশন নেই। একটি উদাহরণ হলো এখন আর্টিস্ট তার বন্দরের নৌকার ছবির জন্য কপিরাইট পেতে পারেন – এমনকি তার পার্টিকুলার কালার চয়েজ, কম্পোজিশন, এবং পার্সপেক্টিভ এর জন্যও পেতে পারেন কিন্তু নৌকার ছবি তোলার তার ধারণার জন্য কপিরাইট পাবেন না। যে তার ছবি কপি করবে, ( একটি এক্সাম্পল হলো , ওয়েবসাইট এ দিয়ে বা ফ্লায়ার এ প্রিন্ট করে) সে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়বদ্ধ হতে পারেন, কিন্তু কেউ একজন নিজে যেয়ে একই বন্দরে একই বোট এর ছবি তুললে তা হবে না। 

সাধারণ ভাবে বললে কপি, মোডিফাই, রিপ্রোডিউস বা একটি কপিরাইট ওয়ার্ক যেটা আপনার নিজের না বা আপনার লাইসেন্স ও নেই সেইটা সেল করা অবৈধ।

কপিরাইট এর “ফেয়ার ইউজ” কি ?

ফেয়ার ইউজ এর সুবিধা কপিরাইট এর সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য লিমিটেশন। এর ভিত্তিতে, ফেয়ার ইউজ নিশ্চিত করে যে কপিরাইটযুক্ত কিছু ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা যাবে যা লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হবে তবে কপিরাইটের মালিকের কাছে অনুমতি বা অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। ফেয়ার ইউজ হিসাবে কি বিবেচনা করা যেতে পারে?

  • ক্রিটিসিজম এবং কমেন্ট : কোনো কাজ রিভিউ বা ক্রিটিসিজম এ  কুয়োটিং বা সংগ্রহ করে এ্যালাবরেট বা কমেন্ট করা। 
  • নিউজ রিপোর্টিং: একটি নিউজ রিপোর্ট এর আর্টিকেল সামারাইজ করা কিছু কোটেশন এর মাধ্যমে। 
  • রিসার্চ এবং স্কলারশিপ :  স্কলারলি, সাইন্টিফিক বা টেকনিক্যাল কাজ  এর একটি ছোট প্যাসেজ সাইট করা। 
  • নন-প্রফিট এডুকেশনাল ইউজস : একটি লিখিত কাজের লিমিটেড ফটোকপি ক্রিয়েট করা ক্লাসরুম এর জন্য। 
  • প্যারোডি: হাস্যকর উপায়ে সুপরিচিত কাজের অনুকরণ করা।

বেশিভাগ সিচ্যুয়েশন এ কপি করা লিগ্যালি “ফেয়ার ইউজ” না। 

এটি কোর্ট ডিসিশন নেয় ফেয়ার ইউজ এর মধ্যে কি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কোর্টকে অনেক গুলো ফ্যাক্টর কন্সিডার করতে হয় যেমন ব্যবহার করার টাইপ, কপি রাইট ওয়ার্ক এর নেচার , ব্যবহৃত কাজের পরিমাণ এবং গুরুত্ব এবং মূল কপিরাইটযুক্ত কাজের জন্য পোটেনশিয়াল মার্কেটে কি প্রভাব পরবে। এইটা করার কারণ হচ্ছে যেন সেলাররা তাদের সব ধরণের কাজ ফেয়ার ইউজ এর অন্তর্ভুক্ত এইটা মনে করতে না পারেন। 

বিজনেস এর জন্য গিয়ারলঞ্চ ইউজ করার মানে কি ?

আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট হিসেবে, গিয়ারলঞ্চ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী সেলাররা থার্ড পার্টি কপিরাইটযুক্ত কাজগুলি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না, যদি তাদের অনুমতি না থাকে বা আইনগতভাবে তা করার অনুমতি দেওয়া না হয়।

কপিরাইট এর আরো ইনফরমেশন এর জন্য , প্লিজ ভিসিট করুন কপিরাইট. গওভ

ট্রেড মার্ক কি?

ট্রেডমার্ক হ’ল একটি শব্দ, নাম, চিহ্ন বা ডিজাইন যা কোন কোম্পানি বা প্রোডাক্টকে ডিফাইন করে এবং কনজিউমারদের সহজেই ভালো পণ্য গুলো সনাক্ত করতে সহায়তা করে।

ট্রেডমার্ক টিপিক্যালী অ্যাসেট কভার করে যা একটি ব্র্যান্ডকে ডিফাইন করে। এই অ্যাসেটগুলো প্রোটেক্ট করা ইম্পরট্যান্ট কারণ তা একটি ব্র্যান্ড এর পাবলিক ইমেজ প্রোটেক্ট করে। যখন কনজিউমাররা একটি কোম্পানির সাথে পজিটিভ ফিলিংস এবং মেমোরিজ এর সাথে যুক্ত হয় তখন তাদের যে ফিলিংস থাকে , ট্রেডমার্ক ইউজ করেও একই রকম পাওয়ারফুল ইফেক্ট অ্যাচিভ করা যায়।  ট্রেডমার্ক রাইট অন্যদের মার্ক কপি করা থেকে এবং/বা বিভ্রান্তিকর সিমিলার মার্ক ইউজ করা থেকে বিরত রাখে। তবে, ট্রেডমার্ক অন্যদেরকে পরিষ্কারভাবে আলাদা মার্ক এর একই রকম পণ্য প্রোডিউস বা সেল করতে বাধা দেয় না।

এক্সাম্পল স্বরূপ, একটি (প্রকল্পিত) ন্যাশনাল কার কোম্পানি “এনটিএক্সউয়েল” তাদের ব্র্যান্ড প্রোমোট করে গ্রীন স্প্যাইরাল লোগো দিয়ে। এনটিএক্সউয়েল নাম এবং লোগো উভয়তেই ট্রেডমার্কের মালিক। এনটিএক্সউয়েল এর নাম এবং লোগো ব্যবহার করে একজন সেলার যদি একটি টি-শার্ট অফার করেন এনটিএক্সউয়েল এর পারমিশন ছাড়া,  এইটা তাদের নাম এবং লোগো ট্রেডমার্ক এর অধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সে আইনি দায়বদ্ধতার সম্মুখীন হতে পারেন। 

ট্রেডমার্ক এর “ফেয়ার ইউজ” কি?

কোর্ট “ফেয়ার ইউজ” ট্রেডমার্ক এলাও করতে পারে তার দুইটি উদাহরণ দেয়া হলো:

  • ডিস্ক্রিপটিভ ফেয়ার ইউজ : প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর সোর্স ইন্ডিকেট করতে অন্যের ট্রেডমার্ক ইউজ করার পরিবর্তে ইউজার এর প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ডেসস্ক্রাইব করার জন্য ইউজ করা। 
  • নোমিনেটিভ ফেয়ার ইউজ:  ট্রেডমার্কের মালিকের রেফারেন্স দেয়া। সঠিক রেফারেন্স দেয়া ট্রেডমার্ক ওনারের  বা পণ্য বা সার্ভিস এর যা ওই ট্রেডমার্কের আন্ডারে সোল্ড হয় এইটাকে ফেয়ার ইউজ বলে। তবে এটি বিভ্রান্তিকর বা মানহানিকর হতে পারবে না, বা ট্রেডমার্কের মালিক দ্বারা এ্যান্ডোসমেন্ট বা স্পনসারশিপ বোঝানো যাবে না। ট্রেডমার্কের মালিককে আইডেন্টিফাই করার জন্য ন্যূনতম রেফারেন্স দেয়ার অনুমতি আছে। 

আর কপি রাইট এর ব্যাপার হলো এইটা কোর্ট ডিটার্মাইন করবে কোনটা ফেয়ার ইউজ। সেলারদের ট্রেডমার্ক এর পার্টিকুলার ইউজ যেটা তাদের না সেইটা ফেয়ার ইউজ এর অন্তর্ভুক্ত এইটা মনে করা উচিত না।  

বিজনেস এর জন্য গিয়ারলঞ্চ ইউজ করার মানে কি ?

আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট হিসাবে, গিয়ারলঞ্চ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী সেলাররা থার্ড পার্টি কপিরাইটযুক্ত কাজগুলি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না, যদি তাদের অনুমতি না থাকে বা আইনগতভাবে তা করার অনুমতি দেওয়া না হয়। এমনকি কোনও লোগোতে পরিবর্তন করার সময় বা পুরোপুরি ট্রেডমার্কের অংশ বাদ দেওয়ার পরেও, সেলারদের ট্রেডমার্ক আইন ভঙ্গ হওয়ার রিস্ক থেকে যায় যদি সেটি ওই ব্র্যান্ড এবং/বা ব্র্যান্ড এর অ্যাসেট ব্যাবহার করার দিকে ইশারা করে। 

ট্রেডমার্ক এর আরো ইনফরমেশন এর জন্য , প্লিজ ভিসিট করুন ইউএসপিটিও.গওভ/ ট্রেডমার্ক

পাবলিসিটি রাইট কি?

পাবলিসিটি রাইট ট্রেডমার্ক এবং কপিরাইটের লিগ্যাল রাইট থেকে ভিন্ন। প্রতিটি মানুষের সহজাত অধিকার হচ্ছে তাদের নাম বা পছন্দের কমার্শিয়াল ইউজ কে কন্ট্রোল করা। 

উদাহরণ স্বরূপ: টি-শার্টে স্টিফেন কারির ইমেজ তার পারমিশন ছাড়া ব্যবহার করা, তার পাবলিসিটি রাইট লঙ্ঘন করে যেখানে উদ্দেশ্যটি অন্যের উপকারের জন্য বাণিজ্যিক লাভ (তাঁর সম্মতি ছাড়াই)।

পাবলিসিটি রাইট এর আরো ইনফরমেশন এর জন্য , প্লিজ ভিসিট করুন ল.কর্নেল.এডু/ওয়েক্স/পাবলিসিটি

বিজনেস এর জন্য গিয়ারলঞ্চ ইউজ করার মানে কি ?

আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট হিসাবে, গিয়ারলঞ্চ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী এগ্রি করেছেন কোনো মানুষের নাম বা তার লাইকনেস তার পারমিশন ছাড়া ব্যবহার করবেন না। 

আইপি আইন লঙ্ঘনের পরিণতিগুলি কী কী?

গিয়ারলঞ্চ আইপি আইনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়। সেলাররা  তাদের নিজেদের  বিজনেসের  মালিক এবং তাদের কোনও ইমেজ , লোগো, স্লোগান বা অন্যান্য ডিজাইন যা তারা ব্যবহার করেছেন সেগুলোর ওপর তাদের ফুল রাইট বা পারমিশন আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। 

যদি কোনো সেলার আইপি আইন ভঙ্গ করেন (আমাদের সেলার এগ্রিমেন্ট এ সেট করা অ-লঙ্ঘনীয় বাধ্যবাধকতা সহ) তাহলে তার  পরিণতি হতে পারে তার প্রোডাক্ট রিমুভ করে দেয়া, ক্যাম্পেইন শাট-ডাউন করা, গিয়ারলঞ্চ প্লাটফর্ম এর এক্সেস টার্মিনেট করা, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি এবং রাইট হোল্ডার দ্বারা মামলাও করা হতে পারে। 

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

Tips & Tricks

📈 আগস্ট ই-কমার্স ক্যালেন্ডার: সারা মাস ধরে বিক্রয়ের চাবিকাঠি!

প্রিয় গিয়ারলঞ্চ সেলার গন, আমাদের এক্সক্লুসিভ মার্কেটিং ক্যালেন্ডারের সাথে এই আগস্ট মাসে ভালো করার জন্য প্রস্তুত হন! 🔥📆 আমরা মাসব্যাপী বিশেষ দিনগুলির একটি তালিকা তৈরি

Features and updates

অসাধারণ শপিং অভিজ্ঞতার জন্য চলে এসেছে GearLaunch 2.0!

সব নতুন ফাংশন গুলো এক্সপ্লোর করুন  দারুন খবর : চলে এসেছে GearLaunch 2.0  – আপনার কাস্টমার এর শপিং অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য! আমরা